“Education is not Preparation of life, rather it is living” শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে।“Education is the backbone of the nation” অর্থাৎ শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এজন্য শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে শিক্ষার সকল তথ্য লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল তথ্য যেমন কলেজ পরিচিতি, শিক্ষক/ কর্মচারী তথ্য, ছাত্র/ছাত্রী তালিকা, , ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিতি, নোটিশ, গভর্নিং বডির তথ্য, প্রতিষ্ঠান প্রধানের পরিচিতি । পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষার ফলাফল, প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট, অভিভাবক সমাবেশ, সহপাঠ্যক্রম কার্যাবলী, সিলেবাস, কারিকুলাম, জাতীয় দিবসের তথ্য,একাডেমিক স্বীকৃতি, শাখা অনুমোদন ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষন করা দরকার।
এজন্য ওয়েব সাইট খোালা দরকার। ওয়েব সাইট একটি প্রতিষ্ঠনের দর্পন স্বরুপ । ওয়েব সাইটে এক নজরে প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য পাওয়া যায় ফলে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক সকলেই উপকৃত হবে। এতে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ওয়েব সাইটে প্রতিদিনের কাজকর্ম, পাঠদান, শিক্ষক/ কর্মচারী, ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিতি লিপিবদ্ধ থাকবে। ক্লাশ পারফরমেন্স লিপিবদ্ধ থাকবে। ওয়েব সাইট খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে ওয়েব সাইট খোলার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিলম্বে হলেও ওয়েব সাইট খুলতে পেরে আমি অধ্যক্ষ হিসাবে আনন্দিত ও গর্বিত। ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হোক। প্রতিষ্ঠান দিন দিন উন্নতির শিখরে অধিষ্ঠিত হোক এই কামনা করি।
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটা ইতিহাস থাকে কোন কোন ঘটনা থাকে। হাট রামচন্দ্রপুর ডিগ্রি কলেজ এলাকা ১৯৯৪ সাল পূর্ববর্তী সময়ে রামচন্দ্রপুর, ঘোলহাড়িয়া, তেবাড়িয়া, কাঠালপাড়া, বজরাপুর, শিরলয়া, সারাংপুর, পারিলা, মল্লিকপুর, ভালুকপুকুর, পুড়াপুকুর, ভালাম, ভবানীপুর, শিয়ালবেড়, মতিয়াবিল, কয়ড়া, কালচিকা ইত্যাদি গ্রাম শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে ছিলো। বিশেষকরে নারী শিক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিল না। মাধ্যমিক স্থরের প্রতিষ্ঠান থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্থরের কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা। ১৯৯৩ সাল নভেম্বর মাস এলাকার মধ্য থেকে আমিসহ কয়েকজন জ্ঞানিগুনি, বিদ্যানুরাগী ব্যাক্তি একএিত ভেবেছিলাম, উল্লেখিত গ্রামগুলোর মধ্যে একটি কলেজ স্থাপন করা দরকার যারজন্য শিক্ষার হার বাড়াতে বিশেষ করে নারী শিক্ষার সুব্যবস্থা হবে। যা কথা তাই কাজ। ২৬ নভেম্বর ১৯৯৩ সাল কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, এলাকার সকল পেশার লোক নিয়ে এক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠাকালে যাদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে তারা হলেন,
মোঃ হজরত আলী (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অএ কলেজ ও সাবেক প্রধান শিক্ষক, হাট গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়), মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (সি, আইসি, রাজশাহী চিনিকল), মোঃ আব্দুল্লাহীল বাকী (সদস্য), মোঃ আলেক ( শিক্ষক ও সদস্য), মোঃ আঃ হামিদ প্রাং (সদস্য), মোঃ ইউনুস আলী ( শিক্ষক ও সদস্য), মোঃ জেকের আলী ( শিক্ষক ও সদস্য), মোঃ খোরশেদ আলী (সদস্য), মোঃ সেকেন্দার আলী, মোঃ আঃ খালেক ( মেম্মার সদস্য), মোঃ আঃ সোরহান (শিক্ষক), মোঃ আঃ সোবহান সরকার, মোঃ জহুর আলী, মোঃ সবের আলী, মোঃ আঃ ছাত্তার, মোঃ জামাল উদ্দিন, লমের হাজী, খবির উদ্দিন সরকার, মোঃ শামসুল হক, মোঃ আঃ মজিদ, মোঃ খলিলুর রহমান, মো শামসুদ্দিন মেম্বার এবং আরো অনেকে।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।